প্রেস বিজ্ঞপ্তি
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর ও সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যাপক মুজিবুর রহমান বলেছেন, স্বাধীনতার ৫৩ বছরেও বাংলাদেশ অর্থনৈতিক শোষণ, রাজনৈতিক নিপীড়ন ও সাংস্কৃতিক গোলামী থেকে মুক্ত হতে পারেনি। বার বার শাসক ও শাসনের পরিবর্তন হয়েছে কিন্তু জনগণের সত্যিকারের ভাগ্যের পরিবর্তন হয়নি। ঘুষ, দুর্নীতি ও দুঃশাসনের কবলে পড়ে দেশের মানুষ দিশেহারা হয়ে পড়েছে। শাসকগোষ্ঠী হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করে দেশের অর্থনীতিকে ধ্বংস করে দিয়েছে। ধনী-দরিদ্রের বিশাল ব্যবধান সৃষ্টি করে সামাজিক নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলা বিঘ্নিত হয়ে পড়েছে। মানুষের রাজনৈতিক ও ভোটাধিকার হাইজ্যাক করে দিনের ভোট রাতে করে বিশ্ববাসীর কাছে বাংলাদেশের গণতন্ত্র এক নিকৃষ্ট পর্যায়ে উপনীত হয়েছে। নতুন প্রজন্ম কে জাতি সত্ত্বার পরিচয় ভুলিয়ে দিতে মিথ্যা, বানোয়াট ও কাল্পনিক ইতিহাস রচনা করে জাতির ভবিষ্যতের উপর চাপিয়ে দিয়েছিল ফ্যাসিস্ট আ’লীগ। সর্বত্র বৈষম্য, বিরোধ এবং বঞ্চনার শিকার হয়ে মানুষ মুক্তির অপেক্ষায় ছিল। ৫ আগস্ট তরুণ প্রজন্মের সাহসী ও ত্যাগী ভূমিকার কারণে দেশের মানুষ আজ স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছে। আমরা যে নতুন বাংলাদেশ পেয়েছি তা হারিয়ে যেতে দিবো না। জাতীয় ঐক্যের মাধ্যমে বাংলাদেশ কে নতুন করে বিনির্মাণে জামায়াতে ইসলামী সর্বাগ্রে প্রয়োজনীয় ও দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করে আসছে। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কক্সবাজার শহর শাখা আয়োজিত ২৩ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় কক্সবাজার পাবলিক হলে অনুষ্ঠিত গণশিক্ষা বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি উপরোক্ত কথাগুলো বলেন। শহর আমীর জননেতা আব্দুল্লাহ আল ফারুকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত গণশিক্ষা বৈঠকে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও গাজীপুর মহানগর আমীর অধ্যাপক জামাল উদ্দীন, কক্সবাজার জেলা আমীর অধ্যক্ষ মাওলানা নূর আহমদ আনোয়ারী, জেলা নায়েবে আমীর অ্যাডভোকেট ফরিদ উদ্দিন ফারুকী, জেলা সেক্রেটারি জাহিদুল ইসলাম ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি সালাহউদ্দিন আইয়ুবী। শহর সেক্রেটারি রিয়াজ মোহাম্মদ শাকিলের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত গণশিক্ষা বৈঠকে অধ্যাপক মুজিবুর রহমান আরো বলেন, ফ্যাসিস্ট আ’লীগের বিচার নিশ্চিত করতে হবে। বিগত সাড়ে পনেরো বছর আ’ লীগের ভোট ডাকাতি, টাকা পাচার, গুম- খুন ও উন্নয়নের নামে লুটপাট বিশ্বের ইতিহাসে বিরল হয়ে থাকবে। দেশের মানুষ আওয়ামী ফ্যাসিস্টকে যেমনি চায় না, তেমনি নতুন কেউ ফ্যাসিবাদী কায়দায় দেশ পরিচালনায় আসুক এটাও চায় না। দেশের মানুষ সত্যিকারের একটি পরিবর্তন চায়। যেখানে আত্মমর্যাদা, স্বস্তি এবং নিরাপত্তা নিয়ে বসবাস করতে পারবে। জামায়াতে ইসলামী এ ধরনের একটি দেশ গড়ার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। সর্বক্ষেত্রে বৈষম্য দূর করার প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। তিনি দেশবাসীকে ক্ষুধা, দারিদ্র্য ও বৈষম্য মুক্ত বাংলাদেশ বিনির্মাণে জামায়াতে ইসলামীর পাশে থাকার জন্য আহ্বান জানান।
গণশিক্ষা বৈঠকে বিপুল সংখ্যক উপস্থিতির কারণে সমাবেশে পরিণত হয় পড়ে। এতে জেলা ও শহরের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।